October 19, 2024, 7:50 pm
হেলাল শেখঃ সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলা মামলা ও হত্যা বন্ধ হচ্ছে না কেন জাতির কাছে প্রশ্ন। জীবনের ঝুঁকি দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে গিয়ে কলম সৈনিক সাংবাদিকরা হামলা মামলা ও হত্যার শিকার হচ্ছেন কিন্তু সেই সাংবাদিকরাই বেশি অবহেলিত কেন। সাংবাদিক মানে কলম সৈনিক-দেশ ও জাতির বিবেক। জাতির কাছে প্রশ্ন কেন সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন, হামলা মামলা করা হয়?। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ শান্তি প্রিয়। জনগণের তুলনায় সাংবাদিকের সংখ্যা অনেক কম। ৯০% মানুষ তাদের সেবা সঠিকভাবে পাচ্ছেন। মাত্র ১০% জনগণ খারাপ এর কারণে ভালো মানুষের বদনাম হয়।
১। প্রজাতন্ত্র-বাংলাদেশ একটি একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র, যাহা “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” নামে পরিচিত। ২। প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা-প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানার অন্তর্ভুক্ত হইবে। ১২ বছর আগের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাংবাদিক আর বর্তমান সময়ের হিসাব অনেকটা আলাদা। বর্তমানে যারা উক্ত দুইটি পেশায় আছেন, তারা বেশিরভাগ ব্যক্তিই সৎ ও সাহসীকতায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করছেন বলে অনেকেরই অভিমত। আপনারা জানেন কি যে, বর্তমান সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাংবাদিকদের দায়িত্ব এবং ভুমিকা কি? এ আলোচনায় পরে আসি।
(বাংলাদেশের ইতিহাস)ঃ তথ্য সুত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্র সভায়, ২ মার্চ ১৯৭১। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। তথ্য-কমপিউটার বিসিএস প্রিলিমিনারী গাইড এর ৮৭নং পাতা। যাঁর ডাকে বাংলার মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে গিয়েছিলেন, তিনিও আজ আমাদের মাঝে নেই, তাহার স্মৃতিটা সবার মাঝে বেঁচে আছে। এখন আমরা স্বাধীনভাবে বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি, স্বাধীনভাবে পথ চলছি, একবারও কি তাদের আত্মার মাফেরাতের জন্য আমরা দোয়া করি? সবাই সবার জন্য দোয়া করা দরকার।
১৯৭১ইং সালের পর বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো-বিভাগ সংখ্যা ছিলো ৬টি যা বর্তমানে ৮টি করা হয়েছে। ৬৪টি জেলা। প্রতিটি জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংবাদ কর্মী আছেন, সেই সাথে প্রতিটি এলাকায় জনপ্রতিনিধি আছেন, যে পেশায় যে দায়িত্বে রয়েছেন সবাই যদি সঠিকভাবে সেই দায়িত্ব পালন করেন তাহলে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে উন্নয়ন হবে। উন্নয়নমূলক কাজ করার কথা সবাই বলা যায় কিন্তু উন্নয়ন করা সহজ নয়। আমাদের সবাইকে সরকারী সম্পদ রক্ষায় কাজ করতে হবে। যেমনঃ সরকারী খাল, বিল, নদী ও গ্যাস, বিদ্যুৎসহ যেসকল সেক্টর রয়েছে, সবগুলোর দিকে নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। প্রতিটি যানবাহনের প্রয়োজনীয় বৈধ কাগজপত্র ছাড়া রোডে উঠতে পারবে না। মাদক, জুয়া, দেহ ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। এই ৩টি অপরাধ বন্ধ হলে দেশে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, চাঁদাবাজি, প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড কমে যাবে বলে অনেকেরই অভিমত।
বিশেষ করে আপনার আমার পরিবার, সমাজ, দেশ ও দেশের সম্পদ রক্ষা করতে আমাদেরকেই সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। যে জাতি যতো সচেতন-হবেন সেই জাতি তেমনি উন্নতির দিকে যাবে। আমরা কেউ কারো হিংসা ও নিন্দা না করি, বিবাদ সৃষ্টি না করি, যার যে কাজ,সেই কাজ সঠিকভাবে গুরুত্বের সাথে করবো। আমরা দুইদিনের মেহমান, আজ আছি, আগামীকাল হয়ত আর থাকবো না। খারাপ কাজ করা সহজ কিন্তু ভালো কোনো কাজ করে দেখাই যে, এই কাজটি আমরা মানবতার কল্যাণে করেছি। ভালো কিছু করতে বেশি অর্থ লাগেনা, ভালো মনমানুষিকতা হলেই চলে। হে মানুষ তোমার সবকিছুতেই চাহিদা আছে সত্য কিন্তু যৌবনের চাহিদা আর পেটের খাবারের চাহিদা না থাকলে কোনো কাজ করার দরকার হইতো না। যৌবন মানব জীবনের এক শ্রেষ্ট সম্পদ তাকে অস্বীকার করা যায় না,দেহগত যৌবন আর মানুষিক যৌবন একরকম নয়। মানুষিক আত্মার অভাব হলে সেই মানুষটি ভালো হতে পারবে না। আমরা যে মানুষ, যে ধর্ম পালন করি না কেন, একদিন বিচারকের সামনে হাজির হতেই হবে। আমরা অন্যের জন্য সবকিছু করছি, নিজের জন্য কি স য় করলাম? বুঝতে পারলে সেই বুদ্ধিমান। মানুষের চাওয়া পাওয়ার শেষ নেই, তবে অভিনয়ে বেশি চাই না,বাস্তবে আমাকে কম দাও। ধর্ম, কর্ম নিয়ে মানুষের জীবন আর কে কেমন ভালো কর্ম করেছেন? কারো মনে কষ্ট দিয়ে বা কারো ক্ষতি করে কেউ কি লাভবান হওয়া যায়? আসুন আমরা সত্যের সন্ধ্যানে মানবতার কল্যাণে কাজ করি।
বাংলাদেশের মানুষ আমরা, আমাদের সঠিক ইতিহাস জানা দরকার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হলে অবশ্যই আইন মেনে কাজ করতে হবে, সেজন্য বেশি বেশি আইনের বই পড়তে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান মানতে হবে। সংবাদকর্মী বা সাংবাদিক হলে তার আগে সাংবাদিকতার আদর্শলিপি বই পড়তে হবে। প্রতিদিন সংবাদ সংগ্রহ করে তা সংশ্লিষ্ট মিডিয়াতে প্রকাশ করতে হবে। আরও কিছু জানতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ম্যানুয়েল বই পড়তে হবে। আর জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব প্রতিটি এলাকায় গিয়ে খোজখবর নিতে হবে যে, জনগণের নাগরিক সমস্যা কি? বাস্তবতা অনেক কঠিন। আশা করি সবাই বুঝতে পারছেন আমাদের সবার স য় দরকার তবে সেই স য় অর্থ বা সম্পদ নয়। অর্থ সম্পদের জন্য মানুষ খারাপ কাজ ও অপরাধমূলক কর্মকান্ড করছে, জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ অপকর্ম করলে তার হিসাব দিতে হবে একদিন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) অভিমত প্রকাশ করে বলেন যে, মানুষ হলে কর্মফল সবাইকে ভোগ করতে হবে আর বাস্তবতা কঠিন হলেও তা মানতে হবে এটা নতুন কিছু নয়, তবে সাংবাদিকরা দেশ ও জাতির কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সবসময় কাজ করেন কিন্তু সরকার বা কোনো সংস্থা সেই প্রকৃত সাংবাদিকদের কি সুবিধা দিচ্ছেন? কিছু দুর্নীতিবাজদের অনৈতিক কর্মকান্ড তুলে ধরলেই সাংবাদিকরা তাদের কাছে খারাপ হয়ে যায়, সেই প্রকৃত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়, সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলা করা হয়। তবে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি জনাব মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) বলেছেন, সাংবাদিকরাই পুলিশের প্রকৃত বন্ধু, তাহলে পুলিশের বন্ধু যেসকল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এটা কোন বিচার? এটাই কি বন্ধুর পরিচয়। সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ না করায় সাংবাদিকই সাংবাদিকদের শক্র হচ্ছে আর এই সুযোগ কাছে লাগিয়ে সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলা মামলা করার সাহস পায় খারাপ মানুষগুলো।